পানির উপর তৈরি করা হয়েছে ‘স্বপ্নের জল কুটির’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট’। পানির উপর এই জল কুটির তৈরি করায় সেখানে সৃষ্টি হয়েছে মনোরম পরিবেশ। এই জল কুটির উত্তরপাশে রয়েছে বন। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাটাখালি ব্রিজের পাশে নির্মিত এই জল কুটির অল্প দিনেই মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই রেস্টুরেন্টের খাবার পরিবেশনও মানুষের মন কেড়েছে। আর সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যে দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে যায়। এ কারণে প্রতিদিনই শতশত দর্শনার্থীর সমাগম হচ্ছে এই জলকুটিরে।
জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-দেওপাড়া সড়কের কাটাখালি ব্রিজের পাশে ৬ বন্ধু মিলে প্রায় এক মাস আগে ‘স্বপ্নের জল কুটির’ নামে কফি হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট গড়ে তুলেন। গভীর পানির উপর বাঁশ-কাঠ দিয়ে নির্মিত এই রেস্টুরেন্টটি দেখতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। ১৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত এই রেস্টুরেন্টে চিকেন বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড জাতীয় খাবার স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা হয়। এখানে রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য ওয়াইফাই সুবিধা। গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থাও রয়েছে খুব সুন্দর। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থীর সমাগম হয় এই জলকুটিরে। ফলে অল্প দিনেই এই জলকুটিরটি মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
লক্ষিন্দর থেকে এই জলকুটিরে আসা আলহাজ্ব সাইদুর রহমান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এই জলকুটির রেস্টুরেন্টটি পানির উপর তৈরি হয়েছে। এটির পরিবেশ খুবই ভালো লেগেছে। আমার পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি। বিকেল বেলা সব চেয়ে বেশি ভালো লাগে এখানে। এখানকার খাবারও অত্যন্ত ভালো।’ মনির নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘এই জল কুটির এক পাশে রয়েছে বন। জলকুটির সামনে রয়েছে সড়ক। পরিবেশটা অনেক সুন্দর। এখানে বসলে মন জুড়িয়ে যায়। জলকুটির মালিক পক্ষও অনেক ভালো। তাদের খাবারগুলোও বেশ উন্নত। মাঝে মধ্যেই এখানে বেড়াতে আসি। জলকুটির মালিকদের পক্ষে ফারুক হোসেন খান রাসেল বলেন, ‘কাটাখালী এলাকাটি সাধারণ মানুষের অবসর সময় কাটানোর জন্য একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
এই এলাকাটি নির্জন। দর্শনার্থীদের বৈকালিক চা-নাস্তা করার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এজন্য আমরা ৬ বন্ধ মিলে গভীর পানির উপর বাঁশ-কাঠ দিয়ে রেস্টুরেন্টটি তৈরি করেছি। আমরা চেষ্টা করি দর্শনার্থীদের সামনে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করতে। ফাস্টফুড জাতীয় সকল খাবার আমরা রেখেছি। দর্শনার্থীদের জন্য ওয়াইফাই ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়ি পার্কিং করার জন্যও রয়েছে সু-ব্যবস্থা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের জলকুটির পরিবেশটা অত্যন্ত ভালো। পানির উপর তৈরি করার আরও সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই শতশত দর্শনার্থী আসে বেড়াতে। অল্প দিনেই আমাদের জলকুটিরটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই জনপ্রিয়তার জন্য তিনি দর্শনার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন’।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।